আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সালামুন আলাইকুম বলা যাবে কি? কোনটিতে নেকি বেশি?



আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সালামুন আলাইকুম বলা যাবে কি?


উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

السَّلامُ عليكم বা سلامٌ عليكم

দুইভাবেই সালাম দেওয়া যায়।

হাদীস শরীফে এসেছে-

مَن قال السَّلامُ عليكم كُتِب له عشرُ حسناتٍ ومَن قال السَّلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ كُتِب له عِشرونَ حسنةً ومَن قال السَّلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه كُتِب له ثلاثونَ حسنةً

হযরত সাহল ইবনে হানীফ রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. বলেন- যে ব্যক্তি বলবে السَّلامُ عليكم তার দশটি হাসানা ( সাওয়াব )হবে আর যে ব্যক্তি বলবে السَّلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ তার বিশটি (হাসানাহ ) হবে আর যে ব্যক্তি বলবে السَّلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه তার ৩০ টি হাসানা হবে। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৮/ ৩৪)

অন্য এক হাদীসে এসেছে-

أنَّ رجُلًا مرَّ على رسولِ اللهِ ﷺ وهو في مجلسٍ فقال: سلامٌ عليكم فقال: (عشرُ حسناتٍ) ثمَّ مرَّ رجُلٌ آخَرُ فقال: سلامٌ عليكم ورحمةُ اللهِ فقال: (عشرونَ حسنةً) فمرَّ رجُلٌ آخَرُ فقال: سلامٌ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه فقال: (ثلاثونَ حسنةً)

❤️❤️❤️

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল এবং বলল سلامٌ عليكم তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন দশটি হাসানাহ। অতঃপর আরেক ব্যক্তি অতিক্রম করল এবং সে বলল سلامٌ عليكم ورحمةُ اللهِ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন বিশটি হাসানাহ।অতঃপর আরেক ব্যক্তি অতিক্রম করল এবং বলল سلامٌ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বললেন ত্রিশটি হাসানাহ। (সহীহ ইবনে হিব্বান, ৪৯৩)

সুতরাং

السَّلامُ عليك বা سلامٌ عليكمদুইভাবেই সালাম দেওয়া যাবে ও সালাাম দেওয়া সুন্নাত এবং উভয়টি অর্থগত দিক থেকে ঠিক থাকবে। তবে السَّلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه বা سلامٌ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه 

বললে বেশী সাওয়াব পাওয়া যাবে।

والله اعلم بالصواب

"উত্তর দিয়েছেন মুসলিম বাংলার ফতোয়া বিভাগ"

👏👏👏👏👏👏

এইতো গেলো হাদিসে হাদিসে বিরোধ, পরস্পর বিরোধী হাদিস। সম্মানিত পাঠক আসুন আমরা কুরআন থেকে জেনে নেই। মুসলিম জাতি তখনি ধংস প্রাপ্ত হয়েছে এবং পথভ্রষ্ট হয়েছে যখন তারা আল্লাহর কিতাব কুরআনুল কারিম ছেড়ে দিয়েছে। এবার আসুন আমরা আরো কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। 

🌹🌹🌹🌹🌹

সালাম, সালামুন আলাইকুম, নাকি আচ্ছালামু আলাইকুম কোনটি ঠিক? ইসলাম আমাদেরকে এর কোনটি শিখিয়েছে?

সালাম, সালামুন আলাইকুম, নাকি আচ্ছালামু আলাইকুম কোনটি ঠিক? ইসলাম আমাদেরকে এর কোনটি শিখিয়েছে?
❤️❤️❤️

প্রশ্নঃ- সালাম, সালামুন আলাইকুম, নাকি আচ্ছালামু আলাইকুম কোনটি ঠিক? ইসলাম আমাদেরকে এর কোনটি শিখিয়েছে?


উত্তরঃ- "সালাম" অর্থ শান্তি বা শান্তি কামনা করি। "সালামুন আলাইকুম" অর্থ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং "আচ্ছালামু আলাইকুম" শব্দের অর্থও আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

অর্থের দিক বিবেচনা করলে সবগুলোর একই অর্থ প্রকাশ পায়। কিন্তু তিনটির মধ্যে কোনটি সঠিক। এবং কোনটি আমরা ব্যাবহার করবো। যদি বলেন কোনটি ভালো?  তাহলে নিঃসংকোচে বলবো আল্লাহ যা আমাদের শিখিয়েছেন সেটাই ভালো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন-

تِلْكَ ءَايَٰتُ ٱللَّهِ نَتْلُوهَا عَلَيْكَ بِٱلْحَقِّۖ فَبِأَىِّ حَدِيثٍۭ بَعْدَ ٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ يُؤْمِنُونَ

এগুলো আল্লাহর আয়াত, আমি তা যথাযথভাবেই তোমার কাছে তিলাওয়াত করছি। অতএব তারা আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর আর কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?। (সুরা জাসিয়া-৬)

হাদিসে এসেছে সালামুন আলা মুহাম্মাদ নিয়মিত খুতবায় বলতেন,

‎إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ،

নিশ্চয় সত্য হাদিস হল আল্লাহর কিতাব। (সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৫৭৮)
❤️❤️❤️

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার নাযিল করা কিতাবে সালাম বিষয়ের শব্দকে নিজেই পবিত্র অভিবাদন ও বরকতময় বলেছেন।


যেমন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, 

فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةً طَيِّبَةًۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلْءَايَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ

তোমরা যখন কোন ঘরে প্রবেশ করবে তখন তোমরা নিজদের উপর সালাম করবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতপূর্ণ ও পবিত্র অভিবাদনস্বরূপ। এভাবে আল্লাহ তোমাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বুঝতে পার। (আন নুর ২৪ঃ৬১)
❤️❤️❤️❤️


প্রশ্নঃ- তাহলে এবার আমাকে বলুন আল্লাহ তায়ালার শেখানো সেই পবিত্র ও বরকতপুর্ণ অভিবাদন কোনটি?

উত্তরঃ- মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা স্পষ্টভাবে আমাদের শিখিয়েছেন যে, আমাদের একে অপরের মধ্যে কোন বাক্যের মাধ্যমে অভিবাদন আদান প্রদান করতে হবে। প্রথমে জানুন কিভাবে অভিবাদন প্রদান করতে হয়।

আসুন এবার আমরা জেনে নেই কিভাবে আমরা একে অপরের মধ্যে অভিবাদন প্রদান করবোঃ-

১/- মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,

وَإِذَا جَآءَكَ ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِـَٔايَٰتِنَا فَقُلْ سَلَٰمٌ عَلَيْكُمْۖ

আর যারা আমার আয়াতসমূহের উপর ঈমান আনে, তারা যখন তোমার কাছে আসে, তখন তুমি বল, "সালামুন আলাইকুম" (তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। (আনয়াম ৬ঃ৫৪)

"এখানে একটা কথা পরিষ্কার যে "যারা আমার আয়াত সমুহের উপর ইমান আনে অর্থাৎ যারা কুরআনের উপর ইমান এনেছে তারা যদি কেউ আসে তাদেরকে বলতে হবে সালামুন আলাইকুম। আর যারা কুরআনুল কারিমকে বিশ্বাসই করেনা তাদের পবিত্র অভিবাদন বলতে কিছু নেই।



❤️❤️❤️❤️
২/-ফেরেস্তাগণের অভিবাদন প্রদানের পদ্ধতিও আল্লাহ তায়ালা জানিয়েছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন -

ٱلَّذِينَ تَتَوَفَّىٰهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ طَيِّبِينَۙ يَقُولُونَ سَلَٰمٌ عَلَيْكُمُ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْجَنَّةَ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ


ফেরেশতা যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র অবস্থায় এই ব’লে যে, "'সালামুন আলাইকুম" তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমরা যে ‘আমাল করতে তার ফল হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (নাহল ১৬ঃ৩২)

অর্থাৎ যখন ফেরেস্তা কোন পবিত্র বা নেক ব্যাক্তির জান কব্জ করেন এবং মৃত্যু ঘটান তখন সেই ব্যাক্তিকে "সালামুন আলাইকুম" বলে অভিবাদন প্রদান করেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেন।

 এই আয়াত গুলো এতই স্পষ্ট যে, যেকোন ব্যাক্তি তা পাঠ করলেই বুঝতে পারবে। হোক সে শিক্ষিত অথবা অশিক্ষিত, ছোট অথবা বড়। এই আয়াতগুলো শুধুমাত্র তারাই বুঝবেনা যারা এই কুরআনের প্রতি ইমান রাখেনা বা যারা কুরআনকে হিংসা-বশত অস্বীকার করে। অথবা যারা আল্লাহর কিতাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি এবং যারা নিজেদের দলমত প্রতিষ্ঠায় ব্যাস্ত। একমাত্র তারাই বুঝতে ও মেনে নিতে শত অজুহাত দার করাবে।
❤️❤️❤️
৩/- ফেরেস্তাগণ জান্নাতি লোকদের "সালামুন আলাইকুম" বলে অভিবাদন জানাবেন।

وَسِيقَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَوْا۟ رَبَّهُمْ إِلَى ٱلْجَنَّةِ زُمَرًاۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوهَا وَفُتِحَتْ أَبْوَٰبُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلَٰمٌ عَلَيْكُمْ طِبْتُمْ فَٱدْخُلُوهَا خَٰلِدِينَ

আর যারা তাদের রবকে ভয় করেছে তাদেরকে দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন সেখানে এসে পৌঁছুবে এবং এর দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে তখন জান্নাতের রক্ষীরা তাদেরকে বলবে, "সালামুন আলাইকুম তিবতুম" তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমরা ভাল ছিলে। অতএব স্থায়ীভাবে থাকার জন্য এখানে প্রবেশ কর’। (যুমার ৩৯ঃ৭৩)


৪/- সালামুন আলা ইব্রাহিম তার পিতা আজরকে একবচনে "সালামুন আলাইকা" বলে অভিবাদন করেছেন। নিম্নের আয়াত তার প্রমান বহণ করে।

قَالَ سَلَٰمٌ عَلَيْكَۖ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّىٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ بِى حَفِيًّا

ইবরাহীম বলল, "সালামুন আলাইকা" ‘তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি আমার রবের কাছে তোমার জন্য ক্ষমা চাইব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি বড়ই অনুগ্রহশীল’। (মারইয়াম ১৯ঃ৪৭)

❤️❤️❤️


৫/- জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে অবস্থিত আরাফ নামক স্থানের অধিবাসিরাও একে অপরকে! "সালামুন আলাইকুম" বলে অভিবাদন জ্ঞাপন করবেন।

وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌۚ وَعَلَى ٱلْأَعْرَافِ رِجَالٌ يَعْرِفُونَ كُلًّۢا بِسِيمَىٰهُمْۚ وَنَادَوْا۟ أَصْحَٰبَ ٱلْجَنَّةِ أَن سَلَٰمٌ عَلَيْكُمْۚ لَمْ يَدْخُلُوهَا وَهُمْ يَطْمَعُونَ

উভয় দলের মাঝে আছে পর্দা আর আ‘রাফে (জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী অংশ) কিছু লোক থাকবে যারা প্রত্যেক লোককে তার চিহ্ন দ্বারা চিনতে পারবে (যে সে জান্নাতের বাসিন্দা না জাহান্নামের)। জান্নাতবাসীদেরকে ডেকে তারা বলবে, সালামুন আলাইকুম" ‘তোমাদের প্রতি সালাম’। তারা (আ‘রাফবাসীরা) তখনও জান্নাতে প্রবেশ করেনি কিন্তু তারা আশা করছে। (আরাফ ৭ঃ৪৬)

৬/- ফেরেস্তাগণ জান্নাতবাসীদেরকে "সালামুন আলাইকুম" বলে অভিবাদন পেশ করবেন।

جَنَّٰتُ عَدْنٍ يَدْخُلُونَهَا وَمَن صَلَحَ مِنْ ءَابَآئِهِمْ وَأَزْوَٰجِهِمْ وَذُرِّيَّٰتِهِمْۖ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِم مِّن كُلِّ بَابٍ


তা হল স্থায়ী জান্নাত, তাতে তারা প্রবেশ করবে। আর তাদের পিতৃ পুরুষ, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানাদির মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তারাও। আর ফেরেশতারা সকল দরজা দিয়ে তাদের কাছে হাজির হয়ে সংবর্ধনা জানাবে (এই বলে যে)-

سَلَٰمٌ عَلَيْكُم بِمَا صَبَرْتُمْۚ فَنِعْمَ عُقْبَى ٱلدَّارِ

"‘সালামুন আলাইকুম"' তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, কারণ তোমরা ধৈর্যধারণ করেছিলে। কতই না উত্তম পরকালের এই ঘর!’’ (রাদ ১৩ঃ২৩'২৪)
❤️❤️❤️

৭/- কেউ যখন নিরর্থক কথা বলতে থাকে মুমিনরা তখন বিতর্ক না করে "সালামুন আলাইকুম" বলে সেখান থেকে প্রস্থান করে।

وَإِذَا سَمِعُوا۟ ٱللَّغْوَ أَعْرَضُوا۟ عَنْهُ وَقَالُوا۟ لَنَآ أَعْمَٰلُنَا وَلَكُمْ أَعْمَٰلُكُمْ سَلَٰمٌ عَلَيْكُمْ لَا نَبْتَغِى ٱلْجَٰهِلِينَ

তারা যখন নিরর্থক কথাবার্তা শুনে তখন তাত্থেকে ফিরে থাকে আর বলে- আমাদের কাজের ফল আমরা পাব, তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে, সালামুন আলাইকুম" তোমাদের প্রতি সালাম, অজ্ঞদের সাথে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। (কাসাস ২৮ঃ৫৫)

৮/- মহান রব্বে করিমও সেদিন জান্নাতীদেরকে "সালাম" বলে অভিবাদন করবেন।

سَلَٰمٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ

দয়াময় প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাদেরকে ‘সালাম’ বলে সম্ভাষণ করা হবে। (ইয়াসিন ৩৬ঃ৫৮)

৯/- এছাড়াও জান্নাতি বান্দাগণ যখন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবেন সেদিন সবার অভিবাদন হবে "সালাম"।

تَحِيَّتُهُمْ يَوْمَ يَلْقَوْنَه۫ سَلَامٌ ﺊ وَّأَعَدَّ لَهُمْ أَجْرًا كَرِيْمًا

“যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, সেদিন তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। আর তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন সম্মানজনক প্রতিদান।” (সূরা আহযাব ৩৩ : ৪৪)

১০/- আপনি হতে পারেন হানাফি, শাফেয়ী, মালেকী, হাম্বলী, আহলে হাদিস, শিয়া ও সুন্নী, আপনি যেই হোননা কেন সকল দলমত দুরে ঠেলে দিয়ে একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন ও পড়ে দেখুন মুসলিম শরীফের ৪র্থ খন্ড বিচার-বিধান অধ্যায় হদিস নং ৪৩৩৭। এবং তিরমিজীর (মা আয়শা কর্তৃক আসীর মুয়াবিয়াকে চিঠি লিখা অধ্যায়) হাদীসে সালামের বাক্য ''সালামুন আলাইকুম/ সালামুন আলাইকা''। বলেছেন।

আল-বিদায়াওয়ান নিহায়া (তারিখে ইবনে কাসীর) ৮ম খন্ড পৃষ্ঠা নং ২৮৯ মোতাবেক ইমাম হোসাইন (রাঃ) কুফাবাসীকে সালাম দিয়েছিলেন সালামুন আলাইকুম বলে।


বাংলাদেশি যুবক ও এক রোহিঙ্গা তরুনীকে নিয়ে লেখা "আমিরুল মোমেনিন মানিক" দারুন এক উপন্যাস লিখেছে পড়ে দেখুন ভালো লাগবেই। ৪ টি ছোট ছোট পর্বে সমাপ্ত হয়েছে।

▶️ রোহিঙ্গা তরুনী পর্ব-১

▶️ রোহিঙ্গা তরুনী পর্ব-২




🌹 ধন্যবাদ 🌹

❤️❤️❤️


Post a Comment

Previous Post Next Post