সালাম অথবা সালামুন আলাইকুম অথবা আসসালামু আলাইকুম।

সালামুন আলাইকুম " এবং "আসসালামুয়ালাইকুম" এর মধ্যে পার্থক্য কী? কোরআন এ সালামুন আলাইকুম পাওয়া যায় কিন্তু আসসালামুয়ালাইকুম পাওয়া যায় না কেন?

সালামুন আলাইকুম " এবং "আসসালামুয়ালাইকুম" এর মধ্যে পার্থক্য কী? কোরআন এ সালামুন আলাইকুম পাওয়া যায় কিন্তু আসসালামুয়ালাইকুম পাওয়া যায় না কেন?

এটা বুঝতে হলে আপনার আরবী ব্যাকরণের দুইটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তারীফ (التعريف) ও তানকীরের (التنكير) ব্যাপারে কিছুটা জানাশোনা থাকা লাগবে।

আমি সহজ করে বলি, তারীফ মানে সোজা কথায় নির্দিষ্টকরণ আর তানকীর মানে সোজা কথায় অনির্দিষ্টকরণ।

তো আমরা জানি যে, সকল জিনিসই নির্দিষ্ট হতে পারে আবার অনির্দিষ্ট হতে পারে।

যেমন- "কোনো একটা কলা" বললে আমরা নির্দিষ্ট রং ও গঠনের কোনো একটা মাত্র কলাকে জানতে পারি না, বরং পৃথিবীর সকল কলাকেই ব্যাপকভাবে জেনে নেই। অর্থাৎ একটা মাত্র কলার কথাই বলা হয়েছে, কিন্তু তা নির্দিষ্ট না হওয়ায় আমরা জানতে পারছি না যে সেটা কোনটা। পৃথিবীর যেকোনো কলাকে নিয়েই তো এই "কোনো একটা কলা" বলা যাচ্ছে। তো এখানে কিন্তু তানকীর পাওয়া গেল। আর যেই শব্দে তানকীর পাওয়া যায় তাকে বলা হয় নাকেরা বা ব্যাপক (النكرة)।

আর যদি বলি "কলাটা", তাহলে কিন্তু কোটি কোটি কলার মধ্যে মাত্র একটা কলাকেই এবার আমরা নির্দিষ্টভাবে একেবারে গুনে গুনে জানতে ও বুঝতে পারছি, তাই না? তো এখানে আমরা তারীফ পাচ্ছি আর যেই শব্দে তারীফ থাকে তাকে বলা হয় মারেফা বা নির্দিষ্ট (المعرفة)।

আর বাংলায় যেমন শব্দের শেষে শুধু "টি" বা "টা" লাগালেই শব্দটা মারেফা বা নির্দিষ্ট হয়ে যায় তেমনি আরবীতে শব্দের শুরুতে শুধু "আল" (ال) লাগালেই শব্দটা মারেফা বা নির্দিষ্ট হয়ে যাবে।

যেমন- موزة (মাউযাতুন) মানে হচ্ছে "কোনো একটা কলা", এটা নাকেরা। আর الموزة (আল মাউযাহ) মানে "কলাটা", এটা মারেফা।

তো এখন আমরা সালামে আসি। আমরা বুঝতে পারছি যে উপরের নীতিগুলো অনুসারে সালামুন (سلام) হচ্ছে নাকেরা যার অর্থ হলো "কোনো এক শান্তি"। এটা ব্যাপক সালাম বা শান্তির দিকে নির্দেশ করছে, কারণ "কোনো একটা শান্তি" তো যেকোনো শান্তিকেই বোঝায়, বোঝা গেল?

অর্থাৎ শান্তির কথা তো একটাই বলা হয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট না হওয়ায় যতরকমের শান্তি হতে পারে সেই সবরকমের শান্তির কথাই কিন্তু মাথায় আসছে, নির্দিষ্ট কোনো একটা শান্তিকে চিনে বা জেনে নেওয়া যাচ্ছে না তো।

আর আস সালাম (السلام) হচ্ছে মারেফা, যা নির্দিষ্ট কোনো শান্তির দিকেই নির্দেশ করছে। কারণ "শান্তিটা" বা "শান্তির ব্যাপারটা" শুনলে আমরা বুঝতে পারি যে একটা নির্দিষ্ট শান্তির‌ই কথা হচ্ছে, তাই না?

তাহলে উভয়টার মধ্যগত পার্থক্যটা হল- সালামুন হলো অনির্দিষ্টভাবে অজানা ব্যাপক কোনো শান্তি আর আস সালাম হলো নির্দিষ্টভাবে চেনাজানা একটি শান্তি, ক্লিয়ার??

আচ্ছা আরেকটু সহজ করছি। মনে করুন শান্তি মোট সাতশ রকমের আছে। এখন কেউ বললো যে "আমি কোনো এক ধরণের শান্তি অনুভব করছি", তাহলে সেই সাতশটার মধ্য হতে একটা মাত্র শান্তির কথা সে বলেছে ঠিকই, কিন্তু সেটা ঘুম থেকে ওঠার পরের শান্তি; না মাদক গ্রহণের শান্তি; না অন্য কোনো শান্তি তা জানা গেল না। তো এটাই হলো তানকীর আর এই "কোনো এক শান্তি"টাই নাকেরা।

আবার যদি কেউ বলে "আমি ঠান্ডা হাওয়ায় বসলে খুব শান্তি পাই" তাহলে কিন্তু আমরা সাতশটার মধ্য থেকে একটা শান্তিকে একেবারে তার কারণসহ নির্দিষ্টভাবে জানতে ও অনুধাবন করতে পারছি। এটাই তারীফ আর এই "হাওয়া খাওয়ার শান্তিটাই" মারেফা।

তো এবার মূল কথায় আসি। কুরআনে আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে যতবার সালাম দিয়েছেন ততবারই সালামুন বলেছেন, আসসালামু বলেননি। তো বোঝাই যাচ্ছে যে তিনি মূলত এমন কোনো রকমের শান্তির কথা বলছেন যা আমরা জানি না বা অনুধাবন করতে পারিনা, অথবা সম্ভব নয়। আর মজার কথা হচ্ছে যে তানকীর কখনো সম্মান, বিশেষত্ব, উচ্চ মর্যাদা ও বিশালতা বোঝানোর জন্যও করা হয়। [১]

তাহলে বোঝা গেল যে সেই শান্তিটা হচ্ছে অতি উন্নত পর্যায়ের।

অতএব আল্লাহ যেই সালাম দেন তাতে এমন অজানা এক শান্তির কথা আছে যা অন্যান্য শান্তির চেয়ে অনেক উন্নত এবং ইউনিক। তাহলে সালামুন আলাইকুম বলতে বিশেষ এবং অতি উন্নত শান্তি কামনা করা বোঝানো হয়। এতোটুকু খুব ভালো করে বুঝতে হবে।

আর লক্ষণীয় যে যাদেরকে তিনি সালাম দিয়েছেন উনারা হচ্ছেন শুধুই নবী-রাসূল ও জান্নাতবাসীরা। কারণ ইনারাই তো সেই অতিবিশেষ শান্তির অধিক উপযুক্ত। তো এজন্যই ইনাদের ক্ষেত্রে আল্লাহ সালামুন বলেছেন।

এখন আসি আসসালাম এর টপিকে। আসলে আমরা যেই আসসলামু আলাইকুম বলি তাতে এই আস সালামটা কিন্তু মারেফা নয়! এটা অন্য কিছু....

অবাক হলেন? হ্যাঁ এটা ঠিক যে উপরে মাত্রই এটা বলে এসেছি যে শব্দের শুরুতে "আল" আসলে মারেফা হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে… সেই শব্দটা কখনো মারেফাও হতে পারে আবার কখনো "অন্যকিছুও" হতে পারে, এবার বুঝলেন?

সেই অন্যকিছুটা কী হতে পারে তার আগে এটা জেনে নিলে বেশি ভালো হবে যে "আল" থাকা সত্ত্বেও তা মারেফা কেন নয়? রহস্য কী?

আসলে আমরা যেই সালামটা দেই তার দাবী হচ্ছে এটা যে, যার জন্য শান্তি কামনা করছি তার জন্য সবরকমের শান্তিই কামনা করবো। শুধু নির্দিষ্ট কোনো একটা ক্ষেত্রেই শান্তি চাইবো না। কারণ এটা তো কৃপণতার শামিল।

ধরুন পথ চলতে চলতে আপনার এলাকার চৌধুরী সাহেবের সাথে আপনার দেখা। উনার মাইগ্রেনের খুব সমস্যা, প্রায়ই মাথাব্যথায় ভোগেন। আপনি উনাকে এই ভেবে আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম দিলেন যে, উনি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়ে যেন শান্তি লাভ করেন।

হ্যাঁ, ভালো কথা যে উনার মাথার জন্য আপনি শান্তি কামনা করলেন, কিন্তু উনার সার্বিক শান্তি কামনা করলে এই মাথাব্যথা ছাড়া উনার আরো যত দুঃখ ও ব্যথা আছে যা আপনি জানেন না সেগুলোও তো আল্লাহর ইচ্ছায় শান্তিতে রূপান্তর হতে পারতো, তাই না?

তো এখন এই আস সালামটা আল সহকারে মারেফা হলে নির্দিষ্ট একটা শান্তিই কামনা করার অর্থ আসছে যা ভালো মনে হয় না, তাই একেবারে সবরকমের শান্তির অর্থের জন্য "অন্যকিছু" লাগবে, মারেফা চলবে না। এখন বুঝলেন তো প্রয়োজনটা?

তো সেই অন্যকিছুটা হলো জিন্স (الجنس), আর এটাও "আল" দ্বারাই গঠিত হয়। মারেফার আল আর জিন্সের আল এর মাঝে পার্থক্য করা খুব কঠিন না, রিহার্সাল করলে সহজ হয়ে যাবে।

তো আরবী ব্যাকরণে তারীফ করা ছাড়াও এই "আল" মহাশয় তাজনীসেরও (التجنيس) কাজ করে। তাজনীস বলতে এই আলটা নির্দিষ্টভাবে জিন্স (الجنس) তথা সম্পূর্ণ জাত, জাতি বা শ্রেনীর অর্থ দেয়, তারীফ তথা শুধুই কোনো রকম নির্দিষ্ট করে বসে থাকে না।

যেমন- "ইনসান" (إنسان) মানে হচ্ছে "কোনো একজন মানুষ" তানকীর হিসেবে। আর "আল ইনসান" (الإنسان) মানে হচ্ছে "মানুষটি", মানে নির্দিষ্ট একজন মানুষ, যেমনটা একটু আগেই আমরা শিখেছি তারীফ হিসেবে। আবার এই "আল ইনসান" মানেই মানুষের পুরো জাতিকে বোঝানো হবে তাজনীস হিসেবে। অর্থাৎ যেই দেখতে মানুষের মতো হবে তাকেই এই আল ইনসানের অন্তর্ভুক্ত ধরে নিতে হবে।

❤️❤️❤️

আরো পড়ুন..

  1. সালাম, সালামুন আলাইকুম, নাকি আচ্ছালামু আলাইকুম কোনটি ঠিক? ইসলাম আমাদেরকে এর কোনটি শিখিয়েছে?

  2. ▶️ যারা নামাজে হাত বাধেনা তাদের দলীল সমুহ। 

  3. ▶️ যে কারণে ধর্মকে উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে নেয়া হারাম

  4. ▶️ মসজিদে কি দান করা উচিৎ? দানের সঠিক জায়গা কোনটি? 


এছাড়াও আরেকটা পরিচিত জিনিস দিয়ে উদাহরণ দেই। যেমন আলহামদুলিল্লাহ (الحمد لله)- এর মধ্যে "আল" শব্দটা তারীফের জন্য নয় বরং সকলের ঐক্যমতে এটা হামদ বা প্রশংসার জিন্স তথা পুরো জাত বোঝানোর জন্য এসেছে। এজন্যই কিন্তু এর অনুবাদ করা হয়- "সকল" প্রশংসা আল্লাহর জন্য, কিন্তু "প্রশংসাটি আল্লাহর জন্য" মোটেই বলা হয় না। আল হামদ এখানে মারেফা নয়, জিন্স হয়েছে, মনে রাখবেন ইন্টারেস্টিং কথাটা।

তো আস সালামটা জিন্স হলে সবরকমের শান্তিই নির্দিষ্টভাবে কামনা করা যাচ্ছে যা মারেফা হলে সম্ভব ছিল না আর কৃপণতার অর্থও পাওয়া যেত, ফলে চৌধুরী সাহেব মন খারাপ করতেন। এজন্যই আসসালামু আলাইকুম এর প্রকৃত অর্থ "আপনার উপর সালামটি বর্ষিত হোক" হবে না, এটা বরং শুনতেই হাস্যকর…

আচ্ছা এখন যদি প্রশ্ন ওঠে- আল্লাহ শুধুই সালামুন কেন বললেন? আসসালামু আলাইকুম বললে কী সমস্যা হত? ব্যাপকভাবে সবরকমের শান্তি কামনা করলেও তো হয়।

তো এর উত্তরটা মজার তবে খানিকটা কঠিন। যেটা বলবো তা হলো, তানকীর কখনো "কোনো একটা জিনিস" দ্বারা সবসময়ের জন্য শুধু সেই জিনিসটাকেই বুঝায় না, বরং সেই জিনিসসহ তার সকল অনুরূপ সঙ্গীদেরকেও একের পর এক বুঝিয়ে যেতে থাকে। ক্লিয়ার হলো তো?

যেমন "কোনো একটা করলা" কথাটা, এটা কেউ বললে একটা একটা করে জগতের প্রতিটা করলার ব্যাপারেই বলা হয়ে যায়, তবে নির্দিষ্ট হয়না আরকি। এজন্যই সেই "কোনো একটা করলা"র ব্যাপারে আর জানা হয় না। তেমনিভাবে "কোনো একটা সালাম" বললেও একটা একটা করে সবগুলো সালাম বা শান্তিই উদ্দিষ্ট হতে পারে, যাস্ট শান্তির ধরণটাই জানা নেই।

অতএব নাকেরাও জিন্সের মতো ব্যাপকভাবে সবগুলোকে তুলে ধরতে পারে। তবে পার্থক্য এতটুকুই যে, নাকেরার অনুরূপ সঙ্গীগুলো সব অনির্দিষ্ট আর জিন্সের সঙ্গীগুলো সব নির্দিষ্ট।

তাই সালামুন আলাইকুম বললে আসসালামু আলাইকুম এর অর্থও আসে। তাহলে বোঝা গেল, আল্লাহর সালাম একইসাথে বিশেষভাবে উন্নত শান্তি এবং সবরকমের সকল শান্তি- দুইটাকেই অন্তর্ভুক্ত করছে যা আসসালামে নেই। এজন্যই হয়ত আল্লাহ শুধু সালামুন বলেছেন, আসসালামু বলেননি। কারণ সালামুনটাই বেশি স্মার্ট বোঝা যায়।

আচ্ছা এখন অন্যদিকে আসি। আপনি আরো বললেন যে কুরআনে সালামুন আলাইকুম থাকলেও "আসসালামু আলাইকুম" শব্দটিও পাওয়া যায়- কথাটা একদমই সঠিক নয়। সূরা মারইয়ামের ৩৩ নং আয়াতে ঈসা আলাইহিস সালাম এর একটা কথাকে আল্লাহ নকল করেছেন যেখানে আসসালামু আলাইকুম কথাটি কোনভাবেই প্রমানিত হয় না। বরং এই আয়াত দ্বারা শুধু সালাম শব্দটি স্পষ্ট। আয়াতটা হচ্ছে এই-



উচ্চারণঃ ওয়াসসালামু আলাইয়া ইয়াওমা উলিত্তু ওয়া ইয়াওমা আমূতু ওয়া ইয়াওমা উবআসু হাইয়া।

অনুবাদঃ এবং আমার উপর শান্তি বর্ষিত হোক সেইদিন; যেদিন আমি জন্ম নিয়েছি এবং যেদিন আমি মারা যাবো এবং যেদিন (আবার) জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবো।

তো এখানে "আসসালামু আলাইয়া" পাওয়া যাচ্ছেনা আর এটার ক্যাটাগরি এবং "আসসালামু আলাইকুম" এর ক্যাটাগরিও একই নয়।  এখানে "ওয়াসসালামু আলাইয়া" ওয়া অর্থ আর এবং। ওয়াও কে আলাদা করলে "সালামুন আলাইয়া" থাকে।

কেউ কেউ সূরা ত্বহার ৪৭ নং আয়াতে মূসা আঃ এর ভাষ্যমতে "আসসালামু আলা' বলা আছে, তবে মুফাসসিরগণের মাঝে এই সালাম নিয়ে মতভেদ আছে যে, এই সালামটা মুসা আঃ ফেরআউনকে শুভেচ্ছার জন্য শান্তি কামনা করার উদ্দেশ্যে দেননি, বরং আল্লাহর আজাব থেকে তাকে নিরাপদ থাকার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, কারণ সালামের আরেক অর্থ নিরাপত্তাও আসে। তাই এই আয়াতের "আস সালাম" আমাদের আলোচ্য বিষয়ের বাইরে, কারণ আমাদের আলোচনা হচ্ছে "নিশ্চিত" শুভেচ্ছার সালাম নিয়ে, "ধারণাকৃত" শুভেচ্ছার সালাম নিয়ে নয়। তাই এই আয়াতটা কেউ কখনো সালামের আলোচনায় টেনে আনবেন না অনুগ্রহ করে।

আচ্ছা তো আমরা পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করতে কোনটা বলবো? আসসালামু আলাইকুমই বলবো নাকি সালামুন আলাইকুমও বলা যাবে?

উত্তর এটাই যে দুইটাই বলা যাবে। "সালামুন আলাইকুম" বলা অধিক উত্তম। আল্লাহ যেই সালাম দিয়ে সম্ভাষণ জানাবেন সেটা আমরা ব্যবহার করলে তো আরো বেশি ভালো হওয়ার কথা, তো সালামুন কেন নয়? যাই হোক এটা নিয়ে আর কথা বাড়াবো না, এমনিতেই অনেক লিখে ফেলেছি। তো এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য ২ নং লিংকটাতে যাওয়া যেতে পারে।

তথ্যসুত্র

১। এরাবিক বাংলা ডট নেট।

২। সৌদি প্রশ্নোত্তর সাইট।


Post a Comment

أحدث أقدم