সুখের সংসার (তিন) মফিজুল ইসলাম
সুখের সংসার (তিন) মফিজুল ইসলাম
গাড়িতে রায়হানের সাথে আলাপে মগ্ন থাকলেও মাঝে মধ্যে যে স্ত্রী নাজিয়ার সুন্দর চাঁদমুখ খানা ভেসে উঠে নি তা নয়। এখন একাকী হওয়ায় নাজিয়ার কথা আরোও বেশি মনে পড়তে লাগলো।
রাত তখন নয়টা। মাসুম বাস থেকে নেমে একটি সিএনজি নিয়ে দ্রুত বেফাক অফিসে পৌঁছল। খাতা-পত্র ইত্যাদি বুঝিয়ে দিয়ে সে যখন অফিস থেকে বের হলো তখন ঘড়ির কাটা দশটা ছুঁই ছুঁই। সে ভাবলো, এত রাতে বি. বাড়ীয়ার বাস পাব না। সিলেট গামী নাইট কোচেই যেতে হবে। তাই সে রিক্সা নিয়ে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসে বাসে চড়ে বসলো।
সেদিন বাসে বেশি যাত্রী ছিলো না। সময় হয়ে গেলে বাস ছেড়ে দিলো রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় অতি দ্রুত ছুটে চললো সিলেটগামী 'মিতালী' বাসখানা।
গাড়ী বিরামহীনভাবে চলছে। যাত্রীদের অনেকেই ইতোমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে। মাসুমের চোখে ঘুম নেই। সে নাজিয়ার কথা চিন্তা করছে। তার মনে কেবল একটা কথাই বারবার উদয় হচ্ছে, আহা! বেচারী নাজিয়া বোধ হয় এখনো ঘুমায় নি। নিশ্চয়ই সে অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে না খেয়ে আমার অপেক্ষায় বসে আছে। আশা করছে, আমাকে নিয়ে একত্রে এক প্লেটে খানা খাবে। আমি তাকে কত করে বললাম, নাজিয়া! রাতে আসতে দেরি হলে তুমি খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। আমরা পুরুষ মানুষ। অনেক সময় বিভিন্ন ঝামেলায় বাসায় ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায়। যদি আমার অপেক্ষায় বসে থাকো, তবে অনেক কষ্ট হবে। স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়বে।
/div>
কিন্তু একথা সে মানে নি। মানতে পারে নি। স্বামীর প্রতি তার অকৃত্রিম ভালবাসা, অসীম প্রেম ও অফুরন্ত হৃদয়ের টানই তাকে ঘুমুতে দেয় নি, খেতে দেয় নি একা একা। রাত যত গভীরই হোক না কেন, সময় যত বেশিই হোক না কেন, কোনো দিন তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাই নি। পেয়েছি তিলাওয়াতে। পেয়েছি মোনাজাতে, পেয়েছি ধর্মীয় কোনো পুস্তক পাঠে। হায়! আমার কলিজার টুকরা হৃদয়ের রাণী নাজিয়া এখনো আমার জন্য নির্ঘুম অবস্থায় জেগে আছে।
হঠাৎ একটি বিকট আওয়াজ হয়। গাড়ীখানা প্রচন্ড ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। ঘুমন্ত যাত্রীরা হকচকিয়ে জেগে উঠে। কি ঘটেছে, কেন এমন হলো, কিছুই বুঝতে পারে না তারা। সবাই নিজ নিজ আসনে বসে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে থাকে।
গাড়ীটি তখন মাধবদী থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি নির্জন এলাকায়। আশে পাশে কোন বাড়ি ঘর নেই। শুধু হেড লাইটের আলোতে রাস্তা থেকে বেশ দূরে একটি দেয়াল চোখে পড়লো। এতক্ষণে লোকজন বুঝতে পারলো, গাড়ীর পিছনের চাকা ব্রাষ্ট হয়ে গেছে। সেই সাথে এও জানলো যে, ভুল ক্রমে প্রয়োজনীয় তেলও আনা হয় নি।
নতুন চাকা সংযোজন ও তেল আনতে কতক্ষণ লাগবে একথা ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে সে বললো, কমপক্ষে দেড় দুই ঘন্টা তো লাগবেই। কারণ
তেলের জন্য মাধবদী যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
নিঝুম রাত। যানবাহন চলাচল প্রায় থেমে গেছে। মাঝে মধ্যে দু'একটা দূরপাল্লার বাস এদিক থেকে সেদিকে চলে যাচ্ছে। যন্ত্রদানব নামে খ্যাত কিছু কিছু মালবাহী ট্রাকও চলাচল করছে। গাঢ় অন্ধকার হওয়ায় আশে পাশে কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। যারা বাস থেকে নেমে ছিলো, দু'একজন সাহসী যাত্রী ছাড়া বাকিরা সবাই নিজ নিজ আসনে বসে ঘুমাতে লাগলো। মাসুমও ঘুমাতে চেষ্টা করলো। কিন্তু পারলো না। কেবলই তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো নাজিয়ার ফুটফুটে সুন্দর মুখ খানা।
নাজিয়ার বয়স বিশ। তার দেহরত্ম অপরূপ যৌবন গরিমায় লাবণ্যমন্ডিত। প্রস্ফুটিত গোলাপের সুরভিত সুষমায় তার অবয়ব যেন অপার্থিব মহিমায় গৌরবান্বিত। সুন্দরীর আঁখি যুগলের বাঁকা চাহনি প্রেমাস্পদের হৃদয় তলে মায়াবাণ নিক্ষেপ করতে বেশ দক্ষ। তার অনুপম গঠন স্বামীর মন প্রাণ হরণ করে প্রেমের মূর্ছনা জাগিয়ে তুলে। টুকটুকে লাল পাতলা ওষ্ঠযুগলে সব সময় লেগে থাকে হাসির রেখা। কোনো সুদক্ষ কারিগর দ্বারা যেন যুবতীর উন্নত নাসিকাখানা তৈরি করা হয়েছে। কবি সাহিত্যিকরা তাকে পেলে সুকেশী, সুদন্তী, সুনয়না, সুদর্শনা, অনন্যা ও নিরভিমানী ছাড়াও কতশত গুণবাচক শব্দে অভিহিত করতেন তার কোনো হিসেব নেই।
নাজিয়াকে নিয়ে এসব চিন্তা করতে করতে প্রায় অর্ধ ঘন্টা চলে গেলো। মনটা কেমন জানি ছটফট করছে মাসুমের। কোনো কিছু ভালো লাগছে না তার। এক পর্যায়ে সে বাস থেকে নেমে পড়ে। ঝিরঝির করে বাতাস বইছিলো। নাজিয়ার কথা কল্পনা করতে করতে সামনে হাঁটতে থাকে। হারিয়ে যায় সে ভাবনার সাগরে। এভাবে যেতে যেতে বাস থেকে বেশ দূরে চলে আসে সে। নীরব-নিস্তদ্ধ গহীন রাতে এভাবে একা একা চলা নিরাপদ নয়, কল্পনার জগতে ডুব দিয়ে একথাও সে বেমালুম ভুলে গেলো।
অকস্মাৎ একটি মেয়েলি কণ্ঠের আওয়াজ শুনতে পেয়ে মাসুম থমকে দাঁড়ায়। এদিক সেদিক তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেল না। কর্ণদ্বয় সজাগ করে চপলা হরিণের ন্যায় পুনরায় বাম দিকে মুখ ফিরাতেই আবার ভেসে এলো একটি করুণ আর্ত-চিৎকার বাঁ-চা-ও। কে আছো? আমাকে বাঁ-চা-ও...........।
মাসুমের সন্ধানী দৃষ্টি ফিরতে থাকে ডানে, বামে। কিন্তু না, দৃষ্টির সীমানায় কিছুই সে দেখতে পেল না। আবার শোনা গেল বাঁ-চা-ও! বাঁ- চা-ও...........।
নিজের অজান্তেই মাসুমের হাত দুটি মুষ্টিবদ্ধ হয়। সে আর স্থির থাকতে পারে না। শব্দের রেশ ধরে চলতে চলতে যখন একটি ভগ্ন দেয়ালের কাছে পৌছে, তখন সে দেখতে পায় তিনটি যুবক একটি মেয়েকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। আর মেয়েটি কেবল তাদের কাছে হাত জোড় করে বলছে- তোমাদের পায়ে পড়ি, তোমরা আমার ভাই। আমার সব কিছু নিয়ে যাও। কিন্তু আমার সতিত্ব হরণ করো না।
মাসুম একা। নিরস্ত্র। ওরা তিনজন। সাথে নিশ্চয় অস্ত্র আছে। সে ভাবে, সে কি পারবে মেয়েটিকে বাঁচাতে? না কি নিজেরও প্রাণ দিতে হবে মেয়েটিকে বাঁচাতে গিয়ে। আবার ভাবে, আমার সামনে একটি মেয়ের সম্ভ্রমহানি হবে এ কি করে হয়? যদি খোদা না করুন, এ মেয়েটি যদি আমার স্ত্রী বা বোন হতো, তবে কি আমি পারতাম এভাবে দাঁড়িয়ে চিন্তা করতে? না, এ মুহূর্তে এত ভাবনার সময় নেই।
এমন সময় কে যেন তার ভেতরকার ব্যক্তিটাকে বলে দিয়ে যায়, মাসুম! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো? এখন সময় নেই। তোমার জীবন দিয়ে হলেও মেয়েটিকে রক্ষা করো। অবশ্যই আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করবেন।
মেয়েটির আর্ত-চিৎকার পাষণ্ডদের কর্ণ কুহরে প্রবেশ করে নি। ভাই সম্বোধনেও তাদের হৃদয়ে বিন্দুমাত্র দয়ার উদ্রেক হয়নি। তাদের একজন মেয়েটির মুখে রুমাল ঢুকিয়ে দেয়। আর বাকি দু'জন হাত পা শক্ত করে ধরে রাখে।
এ দৃশ্য দেখে মাসুমের পক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হলো না। সে আল্লাহর নাম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো যুবকদের উপর। মাসুমের অযাচিত আক্রমণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যুবকত্রয় মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে মাসুমের উপর একযোগ ঝাঁপিয়ে পড়লো। মাসুম খানিক সরে গিয়ে তাদের আক্রমণ থেকে নিজকে রক্ষা করে অতি ক্ষিপ্রতার সাথে আবার ঝাঁপিয়ে পড়লো আক্রমণকারীদের উপর।
মাসুম আত্মরক্ষার জন্য কারাত প্রশিক্ষণ গত তিন মাস হয় শেষ করেছে। সে প্রশিক্ষণই এবার সে বাস্তবে প্রয়োগ করতে লাগলো। হাত পা ছুঁড়তে লাগলো বাতাসের গতিতে। যুবকত্রয় আর সামনে দাঁড়াতে পারলো না। প্রাণ নিয়ে দৌড়ে পালালো। যাবার সময় শুধু এতটুকু বলে গেলো-উড়ে এসে জুড়ে বসেছো? সুযোগ পেলে দেখিয়ে দেব কত ধানে কত চাল। আর মনে রেখো, আমাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে তুমি যে অন্যায় করেছো, তার শাস্তি তোমাকে ভোগ করতেই হবে একদিন।
লম্পটদের চলে যাওয়ার পর মেয়েটি উঠে দাঁড়ায়। এক পা দু'পা করে এগুতে থাকে মাসুমের দিকে। মাসুম দৃষ্টি নিচু করে পরম স্নেহের সাথে জিজ্ঞেস করে-
: বোন! কে আপনি? কোথায় যাবেন? চলুন আপনাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসি।
: আমার নাম ফারহানা আক্তার নাজিয়া। আমি মামার বাসায় থেকে বি.বাড়ীয়া সরকারী কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। মামার বাসা শহরের মধ্যপাড়ায়। আর ঐ গ্রামে আমাদের নিজ বাড়ি। ফারহানা তার গ্রামের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে। তারপর বলে, আপনার পরিচয়টা একটু দেবেন কি?
'নাজিয়া' নামটা শুনে মাসুমের মনটা মোচড় দিয়ে উঠে। আবার স্মরণ হয় বেচারীর কষ্টের কথা।
: হ্যাঁ, পরিচয় অবশ্যই দেবো। তবে তার আগে বলুন, আপনি কিভাবে এ বিপদের সম্মুখীন হলেন।
: সে অনেক কথা। চলুন বাসায় গিয়ে সব বলবো।
: বাসায় গিয়ে শোনার মতো সময় আমার হবে না। আমাদের বাস অল্প সময় পরেই ছেড়ে দিবে।
: ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললে কৃতজ্ঞ হতাম।
: ব্যাপার হলো, আমরা বাস যোগে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে চাকা নষ্ট ও তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই আমাদেরকে থামতে হলো। ড্রাইভার বলেছে, দেড় দু'ঘন্টার মধ্যেই সব ঠিক ঠাক হয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই প্রায় এক ঘন্টা চলে গেছে।
: ও থাক্ থাক্। আমি আর আপনার সময় নষ্ট করতে চাই না। আপনি আমার জীবন রক্ষা করেছেন, এজন্য চিরদিন আপনার নিকট ঋণী হয়ে থাকবো। এবার অনুগ্রহ করে আপনার ঠিকানাটা দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
: আমার নাম মাসুম। বাড়ি, সদর বি.বাড়ীয়ার কাজীপাড়া এলাকায়। আমি এক মাদরাসায় শিক্ষকতা করি।
: আপনার ফোন নম্বরটা একটু দিলে ভাল হতো।
এতক্ষণে তারা ফারহানাদের বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করেছে। মাসুম ফোন নম্বর সংম্বলিত একটি ভিজিটিং কার্ড ফারহানার হাতে তুলে দেয়। তারপর বলে, আপনি কিন্তু বিপদের কারণটা এখনো বলেন নি।
: 'ও তাই তো' বলে ফারহানা বলতে থাকে, আপনি হুজুর মানুষ। আপনার কাছে কথাটা বলতে যদিও লজ্জা লাগছে তারপরও বলতে হচ্ছে। কারণ আমার প্রতি আপনি এমন এক অনুগ্রহকারী যার কথা প্রত্যাখান করা যায় না। আপনি নিজের জীবনের পরওয়া না করে আমার ইজ্জতই হিফাজত করেননি, জীবনও বাঁচিয়েছেন।
: বলতে সংকোচবোধ করলে বলার প্রয়োজন নেই। আর আপনি যে বলেছেন, আমি আপনাকে বাঁচিয়েছি এ কথাটি ঠিক নয়। কারণ কেউ কাউকে বাঁচাতে পারে না। বাঁচানোর মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষ শুধু উসিলা মাত্র। আপনাকে বাঁচানোর জন্য, আপনার ইজ্জত রক্ষার জন্য, আল্লাহপাকই আমাকে উসিলা হিসাবে পাঠিয়েছেন।
: আচ্ছা, ঠিক আছে। ভুল শোধরে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফারহানা এতক্ষণ একটি ব্যাপার খুব ভাল করে লক্ষ্য করছে। সে খেয়াল করে দেখেছে যে, মাসুমের সাথে প্রথমবার চার চোখের মিলন হওয়ার পর এ পর্যন্ত একবারও সে ফারহানার দিকে চোখ তুলে তাকায় নি। এমনকি আড় চোখেও নয়। ব্যাপারটি তাকে ভাবিয়ে তুলে। সে চিন্তা করে, এতদিন আমি হুজুর মাওলানাদের শুধু শুধুই খারাপ জানতাম। অথচ আজকের ঘটনা প্রমাণ করল, হুজুররা কত মহৎ! কত উদার!!
এতক্ষণে তারা গন্তব্যে চলে আসে। মাসুম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলে আমাকে এক্ষুণি ফিরতে হবে। দেরি করলে বাস চলে যাবে।
: একি? আপনি কি একটু চাও খাবেন না? তাছাড়া আমার মূল কাহিনীও তো বলা হলো না।
: আপনার আবদার রক্ষা করতে পারলাম না বলে দুঃখিত। আপনার মামার বাসা মধ্যপাড়া আর আমার বাসা কাজীপাড়া। মধ্যপাড়া-কাজিপাড়া তো পাশাপাশি স্থান। মামার বাড়ীতে যাওয়ার পর একদিন সুযোগ করে ফোনে জানিয়ে বাসায় আসবেন। তখন কাহিনীও শোনা যাবে গৃহিণীর সাথেও পরিচিত হবে।
: আচ্ছা ঠিক আছে। অবশ্যই আমি আপনাদের বাসায় বেড়াতে যাবো।
: এরূপ ক্ষেত্রে 'ইনশাআল্লাহ' বলতে হয়। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোন কাজের ইচ্ছা ব্যক্ত করার সময় 'ইনশাআল্লাহ' (যদি আল্লাহ চান) কথাটি জুড়ে দিতে হয়। কেননা আল্লাহপাক না চাইলে শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেউ কিছু করতে পারবে না।
: 'ইনশাআল্লাহ, কলেজ খুললে মামার বাসায় যাওয়ার পর আপনাদের বাসায় বেড়াতে যাবো। এবার হলো তো?
: হ্যাঁ। এবার হয়েছে। মনে কিছু নিবেন না। একজন যা জানে তা অপরকে বলে দেওয়া এটা ইসলামেরই বিধান। তাই আপনাকে বলে দিলাম।
: না, আমি বরং খুশি হয়েছি। আমার মনে হয় আপনার স্ত্রীও দ্বীনদার মেয়ে। আমি মুসলমান ঠিকই, কিন্তু মুসলমানীর কিছুই বুঝি না আমি। ছোট বেলা থেকেই অন্য পরিবেশে লালিত পালিত হয়েছি। কেউ আমাকে এসব বলেও নি, শিখায়ও নি। আমার মনে হয়, আপনাদের সংস্পর্শে থাকলে ধর্মের ব্যাপারে অনেক কিছু আমিও শিখতে পারবো। আমার জন্য খাস করে দুআ করবেন।
: ঠিক আছে অবশ্যই করবো বলে মাসুম ফারহানাকে বাড়ির ভিতরে পাঠিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়ে বাসের দিকে পা বাড়ালো।
🌹🌹🌹
কাশ্মীরের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নির্মিত এক বীরাঙ্গনা যোদ্ধা নারী। যার নাম ফরিদা বেগম। তাকে নিয়ে নির্মিতি এই উপন্যাস। যেই উপন্যাস আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নিবে। শুধু ধৈর্য ধরে একটি পর্ব পড়ুন।
🌹 ধন্যবাদ 🌹
❤️❤️❤️
❤️❤️❤️